ফুলছড়িতে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
ফারুক হোসেন,গাইবান্ধা
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। চরাঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষক । ধান ও গমের তুলনায় পুষ্টিগুনে বর্তমানে বাজারে ভুট্টার চাহিদা অনেক বেশি। ফলে আগাম জাতের ভুট্টা চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন চরাঞ্চলের ভুট্টা চাষির। কৃষিনির্ভর এই বাংলাদেশে নতুন উদ্ভাবন হিসেবে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষকে যেন সোনালী স্বপ্ন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তারা । তাইতো উপজেলার কৃষকরা দিন দিন আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছে ভুট্টা চাষে।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের একাধিক চরে গিয়ে দেখা যায়, ভুট্টাক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কেউ ক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন, কেউ স্প্রে করছেন। আবহাওয়া ভাল থাকায় প্রকৃতির সাথে হেসে খেলে বড় হচ্ছে ভুট্টা গাছ। উত্তরের হিমেল বাতাসের সাথে ভুট্টা খেতের দোল খাওয়ার সাথে সাথে চাষীদের মুখেও খানিকটা খুশির হাসি দেখা গেছে।
ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়ার চাষি মোঃ হায়দার আলী জানান, ভুট্টার কোনো কিছুই ফেলে দিই না। এর পাতা গরুকে খাওয়াই, ডাঁটা/কাণ্ড ও মোচা খড়ি হিসেবে বাজারে বিক্রি করি। ফলন ভালো পাব আশা করছি।
ফজলুপুররে আরশেদ আলী জানান আমি ৭ বিঘা জমি পটকা (কন্ট্রাক্ট) এ নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি ভালো ফলন আসায় । আসা করছি আমার ভুট্টা ভালো হবে । গতবার চরের এইগুলো জমিতে আমি ভুট্টা চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হয়েছিলাম।
বুলবুলির চরের চৌমোহন মৌজার মোঃ নাজমুল হক জানান ৬ বিঘা জমিতে ভু্ট্টা চাষ করেছি। বন্যার পানির সাথে বালু এসে ইরি-বোর চাষ না হওয়ায় ওইসব জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি ।
ফুলছড়ি উপজেলার কৃষিবিদ মোঃ মিনটু মিয়া সাথে কথা বলে জানা গেছে চলতি ভুট্টা মৌসুমে এবার ৫৯৩৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে।যার উৎপাদন লক্ষমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে ৬৬৬৭২ মেট্রিক টন । এবার আগাম চাষে ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আশা করি আগামীতে ভুট্টা চাষে আরো অনেক বেশি আগ্রহী হবে কৃষক। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মাঠে গিয়ে চাষ বিষয়ে পরামর্শসহ কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মিন্টু মিয়।